মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: অবৈধ বালুমহাল বন্ধে মেঘনা নদীর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানে দেশীয় তৈরি পিস্তল,গুলি, ছুরি-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে বুধবার (২১ মে) দুপুরে গজারিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও কোস্ট গার্ডের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন জানানো হয় অভিযানে ৮জন ব্যক্তিসহ বালু বহনকারী ৩টি বাল্কহেড ও ৩টি ড্রেজার আটক করা হয়েছে। এ সময় একটি ড্রেজার তল্লাশি করে ১টি দেশীয় তেরি পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি, ৭টি মোবাইল ফোন ও নগদ ২৫ হাজার ৮৬৬টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আশরাফুল আলম বলেন,' অবৈধ বালুমহাল গজারিয়ার জন্য বড় একটি সমস্যা। আমি এই উপজেলায় আসার পর থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি অবৈধ বালুমহাল বন্ধ করতে। তার ধারাবাহিকতায় এই অভিযান। আগামী দিনগুলোতে আমাদের অভিযান আরো জোরদার করা হবে। অভিযানে আটক বাল্কহেড ও বাল্কহেড শ্রমিকদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হবে। আটক ড্রেজার, অস্ত্র এবং ছুরি উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় নিয়মিত মামলা হবে'।
অভিযানের নেতৃত্বে দেওয়া গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মামুন শরীফ বলেন, 'গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নৌপথে ডাকাতির সহ নানা অপরাধের তথ্য পাচ্ছিলাম আমরা। একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে এই অপকর্ম করে আসছিল। এসব অপরাধের জন্য মঙ্গলবার (২০ মে) দিবাগত রাত দশটার দিকে মেঘনা নদীর গুয়াগাছিয়া এলাকায় অভিযান চালাই আমরা। অভিযানে ৮ জন ব্যক্তিসহ ৩টি বাল্কহেড ও ৩টি ড্রেজার আটক করা হয়। এ সময় একটি ড্রেজার তল্লাশি করে ১টি দেশীয় তৈরি পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি, ৭টি মোবাইল ফোন ও নগদ ২৫ হাজার ৮৬৬টাকা উদ্ধার করা হয়। আভিযানিক দলের উপস্থিতি টের পেয়ে বেশ কয়েকজন বাল্কহেড ও ড্রেজার থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়'।
বিষয়টি সম্পর্কে কোস্ট গার্ডের লেফটেন্যান্ট বি.এম. তানজিমুল ইসলাম বলেন,' মঙ্গলবার রাত দশটা থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলমান ছিল। কয়েকজন সন্ত্রাসী আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের তৎপরতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কার্যক্রম চলমান রাখবো'।