শরীফ আহমেদ (ডেমরা)
রাজধানী ডেমরা থানাধীন সারুলিয়া হাজী নগর এলাকায় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাজী মোয়াজ্জেম আলী আর্দশ উচ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন চৌধুরী গত ১৮/০৮/২০২৪ ইং তারিখে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে আটক করে মামলার ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে মারধর করে স্কুল থেকে বের করে দেয়। পরর্বতী আবার অএ স্কুলের সাবেক গভর্নিং বোর্ডে সভাপতি ও স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ তৎকালিক ঢাকা-০৫ আসনের এমপি যাএাবাড়ী একাধিক ছাএ গণহত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত আসামী কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর ঘনিষ্ঠ স্নেহভাজন আওয়ামীলীগ নেতা জাবেদ ও অএ স্কুলের বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নাজমা বেগমসহ কয়েকজন শিক্ষক তাদের ইন্ধনে ২/১০/২৪ ইং তারিখে ৫/৬ থেকে মোটরসাইকেলে যোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা রুপগন্জ থানাধীন তারাবো বিশ্বরোড থেকে সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ আফতাব উদ্দিন চৌধুরীকে জিম্মি করে স্কুলে নিয়ে এসে জোরপূর্বক পদত্যাগ পএে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেয়।পরর্বতীতে ঐ প্রধান শিক্ষক শিক্ষা মন্ত্রণালয়,ঢাকা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন সরকারী দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এক পর্যায়ে উক্ত বিষয়ে একটি তদন্ত টীম গঠন করে ঢাকা জেলা প্রশাসক শিক্ষা শাখা,তদন্তের আলোকে গত ০৬/০৫/২৫ ইং তারিখ ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শিক্ষা শাখা হইতে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। যাহার স্বারক নাম্বার ৪৮৩/১।
সিনিয়র সচিব,মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দাখিলকৃত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হাজী মোয়াজ্জেম আলী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফতাব উদ্দিন চৌধুরীকে পদত্যাগ পএে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। সুএ মতে জানা গেছে, ০৯/১০/২০১৭ সালে সরকারী বিধি মোতাবেক লিখিত পরীক্ষা হয়। উক্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন আফতাব উদ্দিন চৌধুরী ও নাজমা বেগম। উক্ত ৫০ মার্কে পরীক্ষায় আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সর্বোচ্চ ৪০ মার্ক পেয়ে হাজী মোয়াজ্জেম হোসেন আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হোন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী নাজমা বেগম সর্বনিম্ন ০৪ মার্ক পেয়ে পরীক্ষায় অকৃর্তকার্য হোন। এবিষয়ে সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সংবাদ কর্মীদের জানায়,স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের দোসর গভনিং বডির সাবেক সভাপতি জাবেদ ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকা নাজমা বেগম সহ অএ স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক একটি মামলা করে বিজ্ঞ আদালতে উক্ত মামলাটি বিচারক পর্যালোচনা করে খারিজ করে দেন। পরর্বতীতে আবারও আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। যাহা বর্তমানে ডেমরা থানায় তদন্ত চলমান রয়েছে।
এই বিষয়ে অএ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকা নাজমা বেগমের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান,পূর্বে আদালতে একটি মামলা হয়েছিলো।
পরে আফতাবউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে উক্ত মামলাটি বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে আমি নিজেই বাদী হয়ে আদালতের একটি মামলা করি যাহা ডেমরা থানায় তদন্তাধীন রয়েছে।