ডেমরা প্রতিনিধিঃ
রাজধানী ডেমরা সারুলিয়ার তথাকথিত বিএনপি নেতা হাজী হযরত আলী ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মরহুম রহমান মোল্লার খাস লোক ছিল। সে তিতাস গ্যাসের কন্ট্রাক্টরের সহযোগি হিসেবে মিটার রিডারদের মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস চুরি তার আয়ের প্রধান উৎস। ১৯৯৫ সালে এই ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য তৎকালীন ঢাকা ৪ এর এমপি আলহাজ্ব সালাহউদ্দিন এর হাত ধরে একচেটিয়া তার ব্যবসার প্রসারিত হয়ে শ্যামপুর পর্যন্ত। গত ২০০৭ সালে ১/১১ এর সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ জেলে গেলে তার রক্ষিত প্রায় ১০০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ অর্থ হযরত আলী নিয়ে চম্পট দিয়েছিল।
গত ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর আবার সে তৎকালীন এমপি আওয়ামীলীগ এর সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার কে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে ডেমরা থানা ও ডিসি অফিসে রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়েছিল। বর্তমানে চতুর ধূর্ত প্রকৃতির এই সুবিধাবাদী সুযোগ সন্ধানী হযরত আলী আবারও সাবেক এমপি সালাহউদ্দিনকে ম্যানেজ করে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ডেমরা থানা বিএনপি’র আহবায়ক পদ ভাগিয়ে নেওয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। তাই স্হানীয় ডেমরা থানার বিএনপি ও অংঙ্গ-সংগঠনের সকল তৃন্যমুল নেতাকর্মীদের দাবী স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ এর আমলে যে সকল বিএনপি নেতারা দলের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে নিজেকে মামলা হামলা থেকে বাঁচানোর জন্য ফ্যাসিস্ট দোষরদের সাথে লিয়াঁজো করে চলেছেন সেই সুবিধাবাধি নামধারী বিএনপি নেতারা যাতে কোন ভাবে ডেমরা থানা ওর্য়াড বিএনপি কমিটি না পায় দলীয় হাইকমান্ড দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তারা মনে করেন এই ধরনের সুবিধাবাদী বিএনপির নেতা হলে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত হবে।